(CLICK ON CAPTION/LINK/POSTING BELOW TO ENLARGE & READ)

Sunday, February 24, 2013

নীতি বদলের সংগ্রামের বার্তা পৌঁছাতে যাত্রা শুরু দক্ষিণ জাঠার |



নীতি বদলের সংগ্রামের বার্তা পৌঁছাতে যাত্রা শুরু দক্ষিণ জাঠার |

আই এন এন

কন্যাকুমারী, ২৪শে ফেব্রুয়ারি — বিকল্প নীতির দাবিতে দেশজুড়ে সংগ্রামের বার্তা পৌঁছে দিতে শুরু হয়ে গেল সি পি আই (এম)-র জাঠা। দেশের মূল চারটি জাঠার প্রথমটির রবিবার কন্যাকুমারীতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সি পি আই (এম)-র সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। দক্ষিণের জাঠার নেতৃত্ব দিচ্ছেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য এস আর পিল্লাই। এদিন জাঠার উদ্বোধনের পর কারাত তাঁর হাতেই পতাকা তুলে দেন। 

‘সংগ্রাম সন্দেশ জাঠা’ অর্থাৎ সংগ্রামের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই দেশের চার প্রান্ত থেকে জাঠা বেরিয়ে মিলিত হবে দিল্লিতে। এদিন কন্যাকুমারী থেকে শুরু হলো দক্ষিণের জাঠা। কলকাতা থেকে দিল্লি জাঠার সূচনা ১লা মার্চ, মুম্বাই থেকে দিল্লি ৮ই মার্চ এবং অমৃতসর থেকে দিল্লি ৪ঠা মার্চ শুরু হবে। বড় জাঠার সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যগুলির ছোট ছোট জাঠা এসে মিলিত হবে। মোট ১০হাজার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবে জাঠাগুলি। ১৪ই মার্চ রাজধানীতে এসে মিলবে সবক’টি জাঠা। ১৯শে মার্চ রামলীলা ময়দানে হবে কেন্দ্রীয় জনসমাবেশ। উল্লেখ্য, সংগ্রামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে শনিবারই আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দেশের প্রথম উপ-জাঠাটি পথ চলা শুরু করে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্টিকর্মীদের এই জাঠার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই জাঠা কলকাতায় পূর্বাঞ্চলের মূল জাঠার সঙ্গে মিলবে আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি। 

এদিন কন্যাকুমারীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বহু মানুষ এসেছিলেন। দেশের চার প্রান্ত থেকে কেন জাঠা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা করে কারাত তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউ পি এ সরকারের ধ্বংসাত্মক নীতি দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমানের প্রভূত অবনতি ঘটেছে। এই জাঠার মাধ্যমে খাদ্যের অধিকার, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দলিত-আদিবাসী-সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতো নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে দেশজুড়ে জনমত গড়ে তুলবে সি পি আই (এম)। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও এই জাঠার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রচার চালাবে পার্টি।’’ তিনি মানুষকে এই লড়াই-সংগ্রামে শামিল হওয়ার পাশাপাশি বিকল্প নীতির স্বার্থে আন্দোলনকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। কারাত পরিশেষে বলেন, ‘‘কেন্দ্রের একের পর এক সরকার ধ্বংসাত্মক নীতি নিয়ে চলেছে। আর তার দায় বহন করতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। জনবিরোধী ঐ নীতি বদলে প্রকৃত বিকল্প নীতি তুলে ধরতে পারে একমাত্র বামপন্থী এবং গণতান্ত্রিক শক্তিই। দেশজুড়ে আরও লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছে দেবেন জাঠার অংশগ্রহণকারীরা।’’

কন্যাকুমারীর মানুষ যেভাবে এই জাঠার উদ্বোধনে উপস্থিত থেকে উৎসাহিত করেছেন সেজন্য শহরবাসীকে অভিনন্দন জানান দক্ষিণের জাঠার নেতা এস আর পিল্লাই। তিনি বলেন, ‘‘ইউ পি এ সরকার যে নীতি নিয়ে চলেছে তাতে ফায়দা লুটছে কর্পোরেট এবং দেশের ধনীরা। অথচ সাধারণ মানুষের সমস্যার দিকে কোনো নজরই নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। খেতমজুর, কৃষক, সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের বিপাকে ফেলেছে যে নীতি তা বদলের জন্য এখনই বড়সড় আন্দোলনে নামার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। এঁদের অধিকার সুরক্ষার তাগিদেই প্রয়োজন বিকল্প নীতির।’’ তাই এই সংগ্রামে দেশের আপামর মানুষকে সি পি আই (এম)-র সঙ্গে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান পিল্লাই।

এদিন জাঠা শুরু আগে সংক্ষিপ্ত ঐ সভায় স্বাগত ভাষণ দেন সি পি আই (এম) তামিলনাডু রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নূর মহম্মদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য কে বরদারাজন। এই জাঠায় থাকছেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য বরদারাজন ও এম এ বেবি, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভি শ্রীনিবাস রাও এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধা সুন্দরমণ।

কন্যাকুমারীর পর জাঠা এসে এদিন প্রথম থামে নাগেরকয়ালে। সেখানেও বিশাল সমাবেশ হয়।


No comments:

Post a Comment